সর্বশেষ সংবাদ
মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক: পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর পর এবার দেবীগঞ্জ উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি হলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল খায়ের ভূইয়া। তার দাবি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করা ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান না দিয়ে যেন পারিবারিক ও সামাজিকভাবে দাফন করা হয় এই আবেদন করেন তিনি। এই আবেদনের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও দিয়েছেন। গত ১৬ নভেম্বর ডাকযোগে ওই মুক্তিযোদ্ধা জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য দপ্তরে আবেদনপত্রটি প্রেরণ করেন।
ওই আবেদনপত্র থেকে জানা যায়, আবুল খায়ের ভূইয়া উপজেলা সদরের মুন্সীপাড়া এলাকার মৃত ছালামতুল্লাহ ছেলে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৬ নং সেক্টরে অধীনে একটি কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করা হয়। ওই দিন বিকেলেই দেবীগঞ্জ আনসার অফিসের সামনে মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
তিনি লিখিত এই আবেদনে বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। এর মধ্যে ৪৩ জনই ভুয়া। ২০১২ সাল থেকে এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে আবুল খায়ের ভূইয়ার উদ্যোগে প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর দেবীগঞ্জ হানাদার মুক্ত পালিত হয়ে আসছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতায় চলছিল। কিন্তু তারপর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৯ ডিসেম্বর দেবীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা শুরু হয়। এই সুযোগে কিছু নামধারী মুক্তিযোদ্ধা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে নামমাত্র আয়োজনে দিবসটি পালন করা শুরু করে। যাতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা জিম্মি হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন, যেখানে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জিম্মি সেখানে মৃত্যুর পর একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার দাফন কাফনে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার স্বদেশ চন্দ্র রায় বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কে এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব অভিযোগকারীর। যদি ভুয়া কেউ থাকেন তাহলে তিনিই তাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান বলেন, আমরা সব সময়ই মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে থাকি। আমি যোগদানের পর থেকে কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে অবমূল্যায়ন করা হয়নি। এছাড়া তিনি ৪৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ভূয়া বলে উল্লেখ করেছেন। তার এই অভিযোগটিও গড়মিল রয়েছে। এর আগেই আমরা তাদের বিষয়ে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। আমার মনে হয় তিনি আলোচনায় আসার জন্য এমন অভিযোগ করেছেন।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, দেবীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভূইয়া মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান চান না এমন আবেদন পেয়েছি। তার অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।